নায়ক সালমান শাহ্ র জীবনী













সালমান শাহ্ নব্বই দশকের জনপ্রিয় ও আলোচিত
বাংলাদেশী নায়ক।
সকলে তাকে যুব সমাজের স্টাইলিশ আইকন বলে থাকে।
জন্ম ও পরিচয়ঃ সালমান শাহর পুরোনাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন।
সকলে তাকে সালমান শাহ নামেই জানেন।
১৯৭১ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর সিলেট জেলার
জকিগন্জ উপজেলায় জন্মগ্রহন করেন।
পিতা কমর চৌধুরী ও মাতা সামিরা
 চৌধুরীর বড় ছেলে সালমান।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ খুলনা বয়রা হাই স্কুলে তিনি শিক্ষা
জীবন শুরু করেন।
এরপর ধানমন্ডির আরব মিশন স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন।
আদমজী ক্যান্টমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ইন্টারমেডিয়েট পাশ করেন।
তিনি বি.কম পাশ করেন ধানমন্ডির মালেকা সায়েন্স কলেজ থেকে।
অভিনয় জীবনে পর্দাপনঃ  সালমান শাহ্ ১৯৮৫ সালে বিটিভির
"আকাশ ছোঁয়া" নাটকের মধ্যে দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন।
এরপর একের পর বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় নাটক উপহার দেন।
সিনেমার জীবনে পর্দাপনঃ ১৯৯১ সালে তিনি সিনেমার
পর্দায় অভিষেক হয়। প্রখ্যাত পরিচালক সোহানুর রহমান
সোহানের কাছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান তিনটি হিন্দি ছবি নিয়ে আসেন।
এর যেকোন একটির বাংলা নির্মাণ করতে হবে।
ছবির জন্য নায়িকা হিসেবে প্রথমবারের মত মৌসুমী কে সিলেক্ট করা হয়।
কিন্তু নায়ক কে হবে তা খুঁজে পাচ্ছিলেননা পরিচালক সোহান।
তখন নায়ক আলমগীরের প্রথম স্ত্রী খোশনুর আলমগীর ইমন নামে
একটি ছেলের খোঁজ দেয়। তার কথামত ইমনকে আনা হলে
পরিচালকের খুব পছন্দ হয় তাকে। তখন তাকে হিন্দি তিনটি ছবির
একটির জন্য সিলেক্ট করা হয়। পরে সালমান শাহ্ জানতে পারেন
ঐ তিনটি ছবির মধ্যে একটি "কেয়ামত ছে কেয়ামত তক" ছিল।
তখন সালমান শাহ্ পরিচালককে কেয়ামত ছে কেয়ামত তক করার
জন্য অনুরোধ করলেন। তিনি বললেন, এ ছবিটি তিনি ২৬ বার দেখেছেন।
তার কথামত পরিচালক কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবিটি বেছে নিলেন।
ছবিটিতে ইমন নামের
ছেলেটির নাম পাল্টিয়ে সালমান শাহ্ দেন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান।
 এই ছবিতে প্রথমবারের মত নায়িকা মৌসুমী ও শিল্পী আগুনের অভিষেক হয়।
মৌসুমী সালমান শাহের খুলনা বয়রা স্কুলের সহপাঠী ছিলেন।
মৌসুমীর সঙ্গে সালমান শাহ দেনমোহর,অন্তরে অন্তরে ও স্নেহ ছবি গুলো করেন।
এরপর সালমানের নতুন নায়িকা হিসেবে শাবনুরের অভিষেক ঘটে।
আনন্দ অশ্রু,স্বপ্নের নায়ক, স্বপ্নের পৃথিবী,বিক্ষোভসহ মোট ১৪টি ছবি
শাবনুরের সঙ্গে করেন। প্রত্যেকটি ছবিই ছিল ব্যবসা সফল।
সালমান শাহ্ এর বিয়েঃ ১৯৯২ সালের ১২ই আগষ্ট সালমানের খালার
বান্ধুবীর মেয়ে সামিরা হককে বিয়ে করেন। সামিরা হক একজন
বিউটিপার্লার ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি সালমানের দুইটি ছবিতে পোশাকের
বিষয়ে কাজ করেছিলেন।
সালমান শাহ্ এর মুত্যুঃ ১৯৯৬ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর সালমান শাহর নিজ
বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সাথে তার লাশ পাওয়া যায়। ময়না তদন্ত শেষে
আত্তহত্যা হিসেবে বলা হয়। তবে তার মা সামিরা হক ও অনেক ভক্তদের দাবি,
এ হত্যার পিছনে তার স্ত্রী সামিরা হক যুক্ত ছিলেন। তাই সালমানের
মা সামিরা হক ও বেশ কয়েকজনের নামে কেস করেন।
এখনো সেই কেস ঝুলেই আছে। আজো জানা যাইনি বাংলার এই স্টাইলিশ
আইকনের মুত্যুর পিছনে কি বা কে দায়ী ছিল তার গোপন রহস্য!!!
Previous
Next Post »