বৃহস্পতি গ্রহের পরিচিতি













দৃরত্বের দিক থেকে বৃহস্পতি সৌরজগতের ৫ম
এবং গ্রহদের মধ্যে সবচেয়ে বড় গ্রহ। একে গ্রহরাজ
বলা হয়। সৌরজগতের বাকি গ্রহ গুলোর ভর
একত্রে করলেও বৃহস্পতি তাদের চেয়ে আড়াই গুন
বেশি ভরের হবে। রোমানরা একে জুপিটার বলত।
তাই বৃহস্পতির ইংরেজি শব্দ জুপিটার। জুপিটার
রোমানদের প্রধান দেবতা। এ গ্রহের গাঠনিক উপাদানে
হাইড্রোজেন ৯৩% এবং হিলিয়াম ৭% রয়েছে।
এর কেন্দ্রে সামান্য অন্যান্য পদার্থও থাকতে পারে।
এটি গ্যাসীয় আবরণে ঢাকা। এটা দেখতে কমলাকৃতির।
অধিক ঘূর্ণনের ফলে এটির এই আকৃতি।বৃহস্পতি,শনি,
ইউরেনাস ও নেপচুনকে গ্যাসীয় দানব বলা হয়।
গ্যাসীয় দানবের দিক থেকে নেপচুনের পরেই এ গ্রহের অবস্থান।
বৃহস্পতির ব্যান্ড উইথ গুলো পৃথক পৃথক। এর উৎকৃষ্ট
উদাহরণ মহালাল বিন্দু। এ গ্রহে দুর্বল গ্রহীয় বল ও শক্তিশালী
ম্যাগনেটোস্ফিয়ার বল রয়েছে। আমাদের পৃথিবী থেকে এ
গ্রহের মান ২.৮ এবং আমরা পৃথিবী থেকে যে কয়টি জ্যোতিষ্ককে
উজ্জ্বল দেখি, তার মধ্যে চাঁদ ও শুক্র গ্রহের পরেই বৃহস্পতির
উজ্জ্বতার অবস্থান। তবে মাঝে মাঝে মঙ্গলের কক্ষপথের কিছু
বিন্দুতে মঙ্গলকে বেশি উজ্জ্বল লাগে। . এ পর্যন্ত এ গ্রহে ৭৯টি
উপগ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে ৬৭টি উপগ্রহের নাম শনাক্ত করা হয়েছে।
এদের মাঝে ৪৭টি ১০ কিলোমিটারের চেয়েও ছোট। বৃহস্পতি গ্রহের
৪টি বড় উপগ্রহ রয়েছে। এরা হচ্ছে আইয়ো,ইউরোপা, গ্যানিমেড ও
ক্যানিস্টো।এদেরকে গ্যালিলিও উপগ্রহ বলা হয়। ১৬১০ সালে
পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও জ্যোতিবিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলাই
এই চারটি উপগ্রহ আবিষ্কার করেছেন। এ কারণে এই বিজ্ঞানীর নাম
অনুসারে এদেরকে গ্যালিলিও উপগ্রহ বলা হয়। বৃহস্পতি গ্রহের অধিক
পর্যালোচনার জন্যেই মহাবিশ্বে মানুষ পা রাখতে পেরেছে। সেই প্রাচীনকাল
হতেই মানুষেরা এর গতিবিধি সম্পর্কে জানত। বহু মনুষ্য যান পাঠিয়েছে
এর পিছনে। পাইওনিয়ার ও ভয়েজার এর সামন দিয়েই সৌরজগতে পৌঁছেছিল।
সর্বশেষ নিউ হয়াইজন্স যখন প্লুটোর উদ্দেশ্য যাত্রা করেছিল,
ঐ মহাকাশ যান ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে বৃহস্পতির খুব সন্নিকট দিয়ে
যাচ্ছিল। বলতে গেলে, সৌরজগতে বৃহস্পতি গ্রহের অবস্থান আর্শীবাদস্বরূপ।
বৃহস্পতির অধিক মাধ্যকর্ষণ বলের কারণে বাহিরের
কোন গ্রহ,উপগ্রহ ও অন্যান্য মহাজাগতিক কিছু সৌরজগতে প্রবেশ করতে পারেনা।
Previous
Next Post »